• ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১
logo
গণঅভ্যুত্থান / মারা গেলেন গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক সুফিয়ানও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়া রিকশাচালক আবু সুফিয়ানও মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস মুমূর্ষু অবস্থায় রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ আবু সুফিয়ান সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ৪০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ৫ আগস্ট তিনি জামালপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সবশেষ তাকে উন্নত চিকিৎসায় রাজধানী ঢাকায় আনা হলেও আর সুস্থ হয়ে ফিরতে পারলেন না। এতে আরও বলা হয়েছে, আবু সুফিয়ান পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আজ দুপুর ১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, জামালপুরের সাদুরপাড়া বটতলা গ্রামে বেড়ে ওঠা ২০ বছর বয়সী একজন সাধারণ মানুষ আবু সুফিয়ান। নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় পরিবারের সাধ্য ছিল না পড়াশোনা করানোর। তাই ছোটবেলা থেকেই অটোরিকশা চালাতেন সুফিয়ান। এমনকি অল্প বয়সে বিয়ে করে আট মাসের একটি ছেলে সন্তানের বাবাও হয়েছেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই তিনি সক্রিয় ছিলেন। আরটিভি/একে-টি
৪ ঘণ্টা আগে

৪৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ২১ পুলিশের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী, ২১ পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় মানারত ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নিহত আহনাফ আবীর আশরাফুল্লাহর বোন সাইয়েদা আক্তারের পক্ষে বৃহস্পতিবার  (৫ সেপ্টেম্বর) আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৯টি অভিযোগ দেওয়া হলো। এর আগে ঢাকায় সাতটি এবং চট্টগ্রামে একটি গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেগুলোর ওপর তদন্ত চলমান রেখেছে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে দশ নং আসামির নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অপরাধ। যাদের আসামি করা হয়েছে  আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, ওসি এএফএম সায়েদ আহমেদ, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই মো.রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কন্সটেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য, আশুলিয়া থানার আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন ওরফে তুহিন কুলু, ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি নাদিম হোসেন, যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরদার, ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মো.শামীম হোসেন, যুবলীগের আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ, সেক্রেটারি টিটু, সাভার ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সাভার আওয়ামী লীগের আলী হায়দারসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।    অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নম্বর আসামি নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৪৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলে। একই সঙ্গে থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাদের লাশ পুড়িয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।    
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬

বেঁচে যাওয়া গুলিবিদ্ধ সালেহ আহমদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ 
ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ সালেহ আহমদ (৫৫) প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি এখন অন্ধকার দেখছেন। কৃষি কাজ করে সামান্য আয়-রোজগারে  মা, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাতেন তিনি। এখন ওষুধ কিনেই তার জমানো টাকা শেষ। বাকি ওষুধের টাকা কোথায় পাবেন, সংসারইবা কীভাবে চালাবেন—তা নিয়ে দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই তার।     এখন তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের পঞ্চম তলার ৫১৫ নম্বর কেবিনে শয্যায় শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। তার পেট ব্যান্ডেজ করা।  সালেহ আহমদ চোখের পানি ফেলতে ফেলতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই দিন (৫ আগস্ট) হবিগঞ্জ শহরের আনোয়ারপুর পয়েন্টে দুধ বেচতাম গেছলাম। আতকা শুনি হইহুল্লোড়। দেখার লাগি একটু আগাই যাই। এরপরই গুলি লাগে পেটে। ভাবছিলাম মইরা যামু। আল্লাই বাঁচাই রাখছে।’ সালেহের বাড়ি হবিগঞ্জ সদরের রাজনগর গ্রামে। বাড়িতে দুটি গরু লালনপালন করে দুধ বিক্রি করে সংসার চালাতেন। এ ছাড়া অন্যের জমিতে বর্গা চাষ করেন। চিকিৎসার জন্য এরই মধ্যে দুটি গরু বিক্রি করেছেন। জমানো সঞ্চয়ও শেষ। এখন প্রতিদিন কেবল ওষুধ বাবদই তার খরচ হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। সালেহর স্ত্রী হালিমা চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমরার সম্বল বলতে আছিল দুইটা গরু। গরুর দুধ বেইচাই সংসার চলত। উপায় না দেইখা এই দুইটা গরু দেড় লাখ টাকায় বেচছি। ঘরে সঞ্চয় আছিল ৫০ হাজার টাকা। সেই টাকাও চিকিৎসাত লাগাইছি। এখন মাইনষের দান-খয়রাতে চিকিৎসা কুনুমতে চলতাছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনো হাসপাতালে আমরার কাছে পায় ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সামনে তো আরও দিন রইয়া গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। এ মুহূর্তে হাতে আছে ৪-৫ হাজার টাকা। ওষুধ ক্যামনে কিনমু, সেই চিন্তায় আছি। চিকিৎসা শেষে বাড়ি গিয়া ক্যামনে সংসার চলব দুশ্চিন্তায় আছি।’ নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহাদী জানান, সালেহ আহমদের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো। তার খাদ্যনালি কেটে অস্ত্রোপচার করায় তাকে প্রথম ১০ দিন আইসিইউতে রাখতে হয়। এখন তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। 
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫

সন্তানের মুখ দেখতে পাননি গুলিবিদ্ধ সাজু, ফিরলেন লাশ হয়ে
গেল ২৪ জুলাই, সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে রেখে জীবিকার তাগিদে গাজীপুরে যান পঞ্চগড়ের সাজু মিয়া (২৬)। একই মাসের ২৭ জুলাই তার স্ত্রী এক ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। সেসময় সাজু তার সন্তানের নাম রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদের নামানুসারে আবু সাঈদ।  ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস মাত্র ১৬ দিনের মাথায় সাজু মিয়া নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করবেন তা কেউ ভাবতেও পারেননি। সন্তানের মুখ না দেখেই তাকে চলে যেতে হয়েছে না ফেরার দেশে। গত ১২ আগস্ট বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয় সাজু মিয়াকে।  এর আগে রোববার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যেদিন পালিয়ে যান সেদিনই সাজু মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। তার মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে বইছে শোকের মাতম। নবজাতক সন্তান নিয়ে দিশেহারা তার স্ত্রী শারমিন আক্তার। সাজু মিয়ার বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা মিরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সাজু ছিল সবার বড়। তিনি গাজীপুরের একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করে পরিবার চালাতেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের আহাজারিতে সাজু মিয়ার বাড়ির পরিবেশ এখনও ভারি। এখনও বিলাপ করে কান্না করেন তার দুই বোনসহ বাবা-মা। ঘরের ভেতর ১৬ দিন বয়সি ছেলেকে নিয়ে অনবরত চোখের পানি ফেলছেন শারমিন আক্তার। স্বজনদের সমবেদনা যে কারও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।  গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে বারবার শারমিন আক্তার বলছিলেন, ‘এই ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় যাবো আমি, আমার ছেলেরে কে মানুষ করবে? আমি বিচার চাই, আমার স্বামীর খুনিদের বিচার চাই।’ শারমিন আক্তার জানান, তার স্বামী সাজু মিয়া ২০১৫ সালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর অভাবের সংসারের হাল ধরতে টেক্সটাইল মিলে কাজ শুরু করেন। তিনি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন শ্রমিক অধিকার পরিষদের পঞ্চগড় জেলা কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের দিন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গাজীপুরের মাওনা হতে একটি মিছিল বের হয়েছিল। সেই মিছিলে ছাত্রজনতার সেই ঢলে যোগ দিয়েছিলেন সাজু মিয়া। মাওনা থেকে ছাত্রজনতা মিছিলটি নিয়ে গণভবনের দিকে রওনা হয়। ওই সময় ময়মনসিংহ থেকে ৭টি পিকআপে করে বিজিবি ও কিছু পুলিশ এসে গুলি করতে থাকে। এ সময় পুলিশের গুলি দুই দফা সাজুর পিঠে লাগে, এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাজুর বাবা আজহার আলী বলেন, ‘আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিল আমার ছেলে। এখন কে এই পরিবার চালাবে। আমার ছেলে তার সন্তানের মুখ দেখার জন্য হাসপাতালে ছটফট করেছিলো, কিন্তু দেখতে পারল না। বার বার বলেছিল, আমি বাঁচবোনা আমার ছেলেকে একবার দেখতে চাই। আমরা তাকে তার ছেলের মুখ দেখাতে পারিনি।’ এসব কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সাজুর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘হাসপাতালে থেকে ফোনে আমার ছেলে আমাকে বলেছিলো, কান্না করিও না মা, তোমার ছেলে শহীদ হবে। তুমি শহীদের মা হবা। শুধু আমার ছেলেকে দেখে রেখো, মানুষের মত মানুষ করো।’
২৫ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৫৭

গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের রেকার গাড়ির ধাক্কায় রিকশাচালক নিহত
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের রেকার গাড়ির ধাক্কায় এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক রিকশাচালক। বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টায় উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মায়ামনি হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ দুর্ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও রেকার গাড়িটি ভাঙচুর করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাফিক পুলিশের ওই রেকারটি গোবিন্দগঞ্জ থানা থেকে বের হয়ে চৌমাথা মোড়ের দিকে আসছিল। এ সময় বনফুল হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি রিকশাকে চাপা দেয় রেকারটি। এতে ঘটনাস্থলেই রিকশাচালক নিহত হন। আহত হন আসাদুল নামের আরও এক রিকশাচালক। পরে উত্তেজিত জনতা ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভেঙে দেয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে রেকারটি ভাঙচুর করে।‌ 
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়